ট্রাম্পের সতর্কবার্তা: ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে মধ্যপ্রাচ্যে নরক সৃষ্টি হবে
- By Jamini Roy --
- 08 January, 2025
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি গাজা ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ট্রাম্প স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে মধ্যপ্রাচ্যে "নরক ফেটে পড়বে।"
তিনি আরও বলেন, “এটি হামাসের জন্য ভালো হবে না। এমনকি কারও জন্যই এটি ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আমি আর কিছুই বলতে চাই না।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরাইলে চালানো হামলা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, এটি একটি "ভুল পদক্ষেপ" ছিল। এ যুদ্ধ বহু নিরীহ মানুষের জীবনকে বিপন্ন করেছে। গাজার পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ আশাবাদী যে, চলমান আলোচনা যুদ্ধবিরতির পথ প্রশস্ত করবে। তিনি বলেন, “আমরা যুদ্ধবিরতির দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্য এই আলোচনায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আশা করি, আমরা শিগগিরই কিছু প্রাণ বাঁচাতে পারব।”
গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী শাসনব্যবস্থা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের মধ্যে গোপন আলোচনা চলছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুদ্ধের পর গাজার পুনর্গঠন এবং নিরাপত্তা পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ইতোমধ্যে তেল আবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে পরিচিত। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের ওপর আমিরাতের প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়।
গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি দিন দিন আরও জটিল আকার ধারণ করছে। নিরীহ ফিলিস্তিনিরা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দিন কাটাচ্ছে। মানবিক সংকটের পাশাপাশি অঞ্চলটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে চলছে নানা গোপন পরিকল্পনা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাইলি সেনা গাজা থেকে প্রত্যাহার করে নিলে ইউএই এবং অন্যান্য দেশ গাজার অস্থায়ী শাসনব্যবস্থার দায়িত্ব নিতে পারে। তবে এ আলোচনা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত নয় এবং কোনো চূড়ান্ত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়নি।
ট্রাম্পের বক্তব্যের পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তিনি বলেছেন, ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের আগে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। অন্যথায়, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।